সদরের উপকূলীয় এলাকা গোমাতলীতে চিংড়ি ঘের দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে প্রচন্ড গোলাগুলি হয়েছে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আধিপত্য নিতে মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ২টার দিকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী থেমে থেমে গুলি ছোঁড়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, হঠাৎ গভীর রাতে মুহুমুর্হু বন্দুকের গুলির বিকট শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্থ এবং চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ঐ এলাকাসহ আশপাশ এলাকার শত শত মানুষ। ভীতির সঞ্চার হয় ঘুমন্ত শিশু-কিশোরদের মনের মাঝে।
অন্যদিকে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জানান, রাতে গোলাগুলির সময় কেউ আমাদেরকে এ তথ্য দেয়নি। সকালে খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশ পৌছার আগেই অস্ত্রধারীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। পরে এলাকা সূত্রে জানতে পারি, বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন লোক বলেন, দখল কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়া করা বহিরাগত বেশ কিছু অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত। এসমস্ত লোকজনের দ্বারা এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহ ধরে হাফেজ্জি ঘোনা নামক উক্ত চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে বিবদমান দু’গ্রুপের মাঝে গুলি বিনিময় হয়ে আসছিল। র্যাব পুলিশের অভিযানে ৪টি অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজনকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ স্বজনের।
সূত্র বলছে, পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী এলাকার হাফেজ মিয়ার ঘোনা দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ৩/৪ যুগ ধরে নিরিবিলি গ্রুপ, অন্যটি হচ্ছে খালেদ মনসুর গ্রুপ। এ দু’গ্রুপের মধ্যে তুমুল বিরোধ ছিল। বহু বছর আগেও এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তখনো গুলিবিদ্ধ হয়ে অসংখ্য লোক মারা গিয়েছিল। বর্তমানে চিংড়ি ঘের নিরিবিলি গ্রুপের দখলে রয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে প্রায় ২১৭ একর জমি দখল নিয়ে নেয় খালেদ মনসুর গ্রুপ। এ নিয়ে চলছে গোলাগুলি, দখল-বেদখলের ঘটনা।
পাঠকের মতামত: